এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত ছিল বিশ্ব সহ সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ। কঠিন দুঃসময়ে সময় পার করেছে সাধারণ মানুষ। সলক সেক্টরের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছিল মহা সমস্যার মধ্যে । এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকরা সহ সাধারণ মানুষ ছিল মহা বিপাকে। সরকারি ত্রাণ সামগ্রী সহ বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পেলে হয়তো মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হতো। এদিকে এত কিছুর পর সরকার ধীর গতিতে ও সুকৌশলে সব কিছুর সমাধান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারের সুদৃষ্টি সর্ব স্তরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহের উপরও ছিল। জনগণের সেবক হিসেবে স্ব স্ব এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে উভয়ের মধ্যে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। আর তারই ধারাবাহিকতায় সরকার গণ পরিবহনের জন্য একটি আইন কানুন বেধে দিয়েছে ভাড়া নির্ধারণ কল্পে। উভয়ের কথা চিন্তা ভাবনা করে পিরোজপুর জেলা সহ সমগ্র বিভাগের মধ্যে করোনার দুঃসময়ে ভাড়া নির্ধারণ বেঁধে দিয়েছে। অথচ নাজিরপুরের ঢাকা গামী বাস মালিকরা কৌশলে সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে কুন্ঠা বোধ করছেন না। সরকার নির্ধারিত চলতি সময়ে সঠিক নিয়মে ভাড়া না নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সর্বমহলে।সর্বশেষ গত শুক্রবার নাজিরপুর – ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন সর্ব স্তরের জনসাধারণ। দল মত নির্বিশেষে সকলেই মানব বন্দনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। উপজেলার শাখারিকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া নুতন সড়ক এলাকায় ঘন্টাব্যাপি মানব বন্দন কর্মসূচি পালন করেন। মানবতার কল্যানে ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে মানব বন্দন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য স্বপন শেখ, নাজিরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আশিক আসলাম সহ রিয়াজ হায়দার প্রমুখ। বক্তরা জানান, নাজিরপুর হতে টুঙ্গিপাড়া মহা সড়কে ২৩ কিলো মিটার মিনিবাসে ভাড়া হল মাত্র ৪০ টাকা। অথচ ঢাকা গামী পরিবহনের ভাড়া পড়ে ১৫০ টাকা। আসলে জুলুমের একটা নমুনা থাকা ভালো। বক্তব্যে আরও বলেন, করোনার পরবর্তী সময়ে স্কুল ছাত্রীছাত্রীরা সহ চাকুরীজীবিরা চলতি সময়ে মহা বিপাকে রয়েছে। তার উপর খরার উপরে মরার ঘা। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে সরাসরি বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। পাশাপাশি রাজনীতিদ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ সহ বহু রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা হয়। মানব বন্দনের বক্তাদের সাথে সহমত পোষণ করেন জেলা বি এন পির সংগ্রামী সদস্য মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ সহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের বেশীর ভাগ নেতারাও । অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেন সর্বস্তরের জনগণ । এদিকে মানব বন্দন কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, নাজিরপুর থেকে ঢাকা যেতে বিভিন্ন পরিবহনে ৪ শ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। বর্তমান ভুক্তভোগীরা পূর্বের ভাড়া নেওয়ার পক্ষে জোরালো দাবি মালিক পক্ষ সহ প্রশাসনের কাছে। নাজিরপুর সদরে অবস্থিত দোলা কাউন্টারের পরিচালক দেবাশীষ বৈরাগী জানান,নাজিরপুর থেকে আগে সাড়ে ৪ শত টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। কিন্তু কিছু অসাধু যাত্রী আছেন যারা নাজিরপুর কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে পিরোজপুর থেকে বাসে উঠেন। এতে বাস কর্তৃপক্ষকে ৫০ টাকা ফাঁকি দেন। তাই পিরোজপুর নাজিরপুর থেকে ঢাকাশ যেতে একই ভাড়া করা হয়েছে। উপজেলা সদরে অবস্থিত টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের কাউন্টার মালিক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু জানান, বাস মালিকের নির্দেশে ও তাদের নির্ধারিত করা ভাড়ায় আমরা টিকিট কেটে থাকি। এখানে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। সর্বশেষ মানব বন্দন কর্মসূচিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে যদি ঢাকা গামী পরিবহনের ভাড়া না কমানো হয় তাহলে এলাকার ছাত্র ছাত্রী সহ বেশীরভাগ লোকজন দুর্বার প্রতিরোধ সহ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আপনার লেখা গুলো চমৎকার । কিন্তু পেইজ স্পিড অনেক খারাপ ।